‘অভিমান’এর ‘সেল্ফি’ গানটা তো ভীষণ জনপ্রিয় হয়েছে...।
বাচ্চা-বড় সকলের ভাল লাগে এমন একটা গান রাখতে চেয়েছিলাম। কথায় বলে, মিউজিকের কোনও ভাষা হয় না। বিদেশে শ্যুট করতে করতেই লক্ষ্য করেছিলাম সেখানকার বাচ্চারা, এমনকী বয়স্করাও নাচছেন গানের তালে তালে। কথা বুঝতে না পারলেও গানের রিদ্মটার সঙ্গে ওরা কানেক্ট করতে পেরেছিল।
পুজোয় একসঙ্গে হাফ ডজন ছবি মুক্তি পাচ্ছে। টেনশন হচ্ছে?
নাহ্! তবে একটা প্রেশার রয়েছে! উত্তেজনাও। ছবিগুলোর মধ্যে দর্শক কাকে এগিয়ে রাখেন, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছি। তবে অনেক মানুষের পরিশ্রম, ভাবনাচিন্তা, এতগুলো টাকা লগ্নি করা রয়েছে এই ছবিগুলোর পিছনে। আমি চাই, সব ছবিই চলুক।
‘অভিমান’এর গল্পটা কেমন?
এনটারটেনিং মেনস্ট্রিম বাংলা ছবি। যেখানে কমেডি রয়েছে, ড্রামা রয়েছে এবং হিউম্যান টাচও!
গত বছর আপনার শুধু ‘বেশ করেছি প্রেম করেছি’ মুক্তি পেয়েছিল। আর ‘অভিমান’ এই বছরে আপনার তিন নম্বর ছবি। আগের বছরের ঘাটতিটা পূরণ হল তাহলে?
আমি চাই, বছরে আমার অন্তত তিনটে ছবি মুক্তি পাক। কিন্তু সব সময় সেটা সম্ভব হয় না। কখনও ছবির বিষয় ভাল লাগে না। আবার কখনও প্রজেক্টটাই ঠিকঠাক আকার নেয় না।
আপনার শেষ ছবিটা ছিল ভারত এবং বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনার। ‘যৌথ’ বিষয়টা নিয়ে কী মত?
ঠিক আছে...! তবে যদি দু’টো দেশের মধ্যে যদি এমন কোনও সরকারি চুক্তি হয়, যাতে বাংলা ছবির বাজার মুক্ত করে দেওয়া যায়, তাহলে বোধহয় আরও ভাল হবে।
ইন্ডাস্ট্রির অনেকে রসিকতা করে বলছেন, কলকাতার এক প্রযোজনা সংস্থা নাকি বাংলাদেশের এক নামী প্রযোজনা সংস্থার ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়েছে...।
এই নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না!
পুজোয় ‘জুলফিকর’ মুক্তি পাচ্ছে। সৃজিত মুখোপাধ্যায় তো আপনাকে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। করলেন না কেন?
যেভাবে ‘জুলফিকর’ বানানো হয়েছে, সেটা আমার বেশ ভাল লেগেছে। আই উইশ দেম অল দ্য বেস্ট! তবে আমি যে ছবিটা করেছি, সেটাও কিন্তু বেশ ভাল (হাসি)।
সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ তো আর হল না...।
ডাজ নট ম্যাটার! আমাদের দু’জনেরই একসঙ্গে কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে। ভবিষ্যতে যদি ইন্টারেস্টিং কোনও চিত্রনাট্য আসে, নিশ্চয়ই করব।
ইন্ডাস্ট্রির কেউ কেউ তো ইদানীং নিজেকে সত্যজিৎ রায়ের উত্তরসূরী মনে করছেন...।
কে কী মনে করছে জানি না! কারও মতো হতে চাওয়ার বদলে নিজস্ব পরিচিতি তৈরি করা প্রয়োজন। সত্যজিৎ রায় একজনই ছিলেন। ওঁর কোনও বিকল্প হতে পারে না।
এজন্যই এখানকার ‘প্রভাবশালী’এবং ‘বড়’ প্রযোজনা সংস্থা কর্ণধারের চাপের মুখেও নতি স্বীকার করেন না?
যে কোনও অভিনেতাই চান, তাঁর কাজ আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে যাক। যখন মনে হয় আমার এখানে মাথা নত করা প্রয়োজন, আমি করি। কাজ জীবনের একটা অংশ মাত্র। আই হ্যাভ অ্যাসপিরেশন অফ অ্যাচিভিং মানি, পাওয়ার অ্যান্ড রেসপেক্ট। (একটু থেমে) রেসপেক্টও জীবনে খুব জরুরি।
ইন্ডাস্ট্রির কাদা ছোড়াছুড়ি থেকে শতহস্ত দূরে থাকেন। সেটা কি সচেতনভাবে? আপনার কি কারও উপর রাগ নেই?
কেন থাকবে না? আমারও রাগ হয়। অভিমান হয়। ভুল আমিও করি। তবে যে পরিস্থিতিই আসুক, শান্ত থাকার চেষ্টা করি। জীবনকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখি। হার্ডল থাকবেই। কিন্তু সেই মুহূর্তগুলো পার হতে পারব, এই আত্মবিশ্বাসটা থাকা প্রয়োজন। জীবনের পরাজয়ের মুহূর্তগুলোর কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ওগুলো আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। আমি ভাগ্য এবং সময়, এই দু’টো জিনিসে খুব বিশ্বাস করি।
রাজনীতিতে যোগ দেওয়া তো টলিউডের নতুন ট্রেন্ড। আপনি যোগ দিলেন না কেন? প্রস্তাব পাননি?
নাহ্, পাইনি। দেখুন, আমি ক্রিকেটে নেই। ফুটবলে আছি, কিন্তু নিজে খেলি না। আমি সিনেমা করি। আর যে ছবিগুলো করি, সেগুলো প্রত্যেকটা ২৪ ক্যারেটের সিনেমা। তাই নো পলিটিক্স, নো ক্রিকেট, নো ফুটবল। সোজা হিসেব।
‘বস্ টু’এর কাজ কবে শুরু হচ্ছে?
ওই প্রজেক্টটা নিয়ে অনেকদিন ধরেই চিন্তাভাবনা চলছে। ‘অভিমান’ মুক্তি পেলেই কাজ শুরুর কথা ভাবব। ছবিটা বাবা যাদবের পরিচালনা করার কথা।
সৌজন্যে- ওবেলা
No comments:
Post a Comment